গত তিন পর্বে আমরা মূলত কোম্পানির ইপিএস, এনেভি এবং ডিভিডেন্ডের উপর ভিত্তি করে ভ্যালুয়েশন করার শর্টকাট পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।এই পর্ব থেকে শুরু হবে আরেক গুরুত্বপূর্ণ পেরামিটার কোম্পানির আর্নিং গ্রোথ বিবেচনায় নিয়ে ভ্যালুয়েশন করার শর্টকাট পদ্ধতি গুল।
P/E খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভ্যালুয়েশন মেট্রিক্স। পিই যত কম সেই শেয়ার তত নিরাপদ - এই কথা শোনেনি এমন বিনিয়োগকারী সম্ভবত নাই আমাদের বাজারে। তবে P/E রেশিওর সমস্যা হল এটি শুধু কোম্পানি দাম এবং আয় বিবেচনা করে কিন্তু কোম্পানির ডিভিডেন্ড এবং আর্নিং গ্রোথ বিবেচনায় নেয় না। ফলে একই পিই রেশিও থাকা দুইটা কোম্পানির মধ্যে ডিভিডেন্ড এবং গ্রোথ রেট ভিন্ন হলে তাদের মধ্যে কোনটা বেশি বিনিয়োগযোগ্য তা বুঝার উপায় নাই।
এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসেন লিজেন্ডারি ফান্ড ম্যানেজার পিটার লিঞ্চ। মেজিলিন মিচ্যুয়াল ফান্ডে টানা ১৩ বছর প্রায় ২৯% হারে মুনাফা করার রেকর্ড তার দখলে। তিনি PEG এবং PEGY রেশিওর ব্যবহার জনপ্রিয় করেন, যদিওবা এগুলো তার নিজের আবিষ্কার নয়।
PEG = PE / Growth rate
PEGY = PE/ (Growth rate + Divided Yield)
এই দুইটা রেশিওর আদর্শ মান ১। রেশিও দুইটার মান ১ এর চাইতে কম হলে স্টক আন্ডার ভ্যালুড এবং ১ এর বেশি হলে ওভার ভ্যালুড বিবেচনা করা হয়। আর গ্রোথ রেট হিসেবে কোম্পানির বিগত ৫ বছরের CAGR বিবেচনায় নেয়া হয়।
উদাহরণ: ঔষধ খাতের জায়ান্ট স্কয়ার ফার্মার এই বছরের প্রজেক্টেড ইয়ার্লি ইপিএস ২৮ টাকা। বর্তমান বাজার মূল্য ২১০। বিগত ৫ বছরের গড় গ্রোথ রেট ১১%। গত বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১১ টাকা।
P/E = 210/28 = 7.5
Division Yiend, Y = 11/ 210 = 5.2
PEG = 1
P= EG = 28*11 = 308
PEGY = 1
P = E*(G+Y) = 28*(11+5.2) = 453
এইবার একটা পরীক্ষা দেন, এয়াই ছবি বানাতে গিয়ে একটা ভুল করেছে। কি ভুল করেছে খুজে বের করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন