বিষয় সন্ধান

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

আগামীর সম্ভবনা-১ঃ সামিট পাওয়ার




বেসরকারী খাতে বাংলাদেশের সর্ব্বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সামিট পাওয়ার। বর্তমানে এর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬২৫ মেগা ওয়াট। এই বছরের (২০১৭) মার্চ মাসে উৎতাদনে এসেছে নতুন দুই সহযোগী কোম্পানিঃ 
  • ৫৫ মেগা ওয়াট ক্ষমতার সামিট নারায়ণগঞ্জ-২ (সামিট পাওয়ারের মালিকানা ৪৯ শতাংশ)।
  • ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সামিট বরিশাল (সামিটে পাওয়ারের মালিকানা ৪৯ শতাংশ)।

অপর দিকে আগামী বছরের জুলাই '২০১৮  নাগাদ উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ১৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার এসিই পাওয়ার লিমিটেড। এই কপম্পানিতে সামিট পাওয়ার মালিকানা ৬৪ শতাংশ। এছাড়াও সরকারের অনুমোদন পাবার অপেক্ষায় আছে প্রস্তাবিত সামিট গাজীপুর ৩০০ মেগাওয়াট প্রজেক্ট। অনুমদোন পেলে শর্ত অনুযায়ী এই প্লান্ট আগামী গ্রীষ্মের আগেই উৎপাদনে আসবে। 

শুধু ডিজেল বা ফার্নেস অয়েল বেজ পাওয়ার প্রান্টই নয়, সামিট গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও তৈরী করছে। আমদানীকৃত এলএনজি ভিত্তিক ৩,০০০ মেগা ওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরীতে গুরুত্বপুর্ন প্রস্তুতি সম্পন্য করেছে সামিট গ্রুপ। এই লক্ষে গঠিত  সিঙ্গাপুর ভিত্তিক
সামিট পাওয়ার ইন্টার্নেশনাল আমেরিকান জায়ান্ট জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স (জিই) যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশে,০০০ মেগাওয়াট এলএনজি গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরীর পরিকল্পনা ঘোষনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ঠা আগস্ট,২০১৭ সিঙ্গাপুরের একটি হোটেলে জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই)ও এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেকোম্পানিটি। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি মহেশখালীতে এলএনজি আমদানির জন্য নির্মিত হবে ফ্লোটিং টার্মিনাল।


উল্লেখ্য সামিট পাওয়ার ইন্টার্নেশনালের মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান সামিট কর্পোরেশন। বাংলাদেশের ষ্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এই সামিট কর্পোরেশনের হাতে। মূলত সামিট পাওয়ার হল সামিট কর্পোরেশনের ফ্লাগশিপ কোম্পানিবাংলাদেশে সামিট কর্পোরেশনের মালিকানাধীন প্রায় সব বিদ্যুৎ প্লান্টের মেজরিটি অথবা মাইনরিটি শেয়ার হোল্ডার হল সামিট পাওয়ার। 

দেশীয় ষ্টক মার্কেটে সামিটের সব পাওয়ার কোম্পানি মার্জ হয়ে ইতিমধ্যেই সামিট পাওয়ার কক বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। যার পেইড আপ ক্যাপিটাল এখন প্রায় এগারশো কোটি টাকা। ভবিস্যতে বড় প্রজেক্টের ইকুইটি পার্টনার বা জয়েন্ট বিডার হতে বড় পেইড আপ ক্যাপিটাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি পরিকল্পিত ৩,০০০ মেগাওয়াটের প্রকল্পগুলোতে সামিট পাওয়ার ইকুইটি পার্টনার বা জয়েন্ট ইনভেস্টর হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় তবে তা কোম্পানিটির শেয়ার হোল্ডার ও দেশের পুজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর হয়ে আসবে। 


আপডেট-১ [২০১৮-০১-২৬]: ২য় প্রান্তিকে সামিট আশাবেঞ্জক আয় দেখিয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৭, ৬ মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২.৩৩ টাকা। আর সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৭, ৩ মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১.৩৫ টাকা। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কোম্পানির সাম্ভাব্য শেয়ার প্রতি আয় হতে পারে ৪.৬৬-৫ টাকা! আশ্চর্য যনক ভাবে শেয়ারটির বর্তমান বাজার মূল্য এখন ৩৫.৫-৩৭ ।

আপডেট-২ [২০১৮-০৭-১৫]: সামিটের নতুন দুইটি প্রকল্প গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-২ উভয়ই যথা সময়ে উৎপাদনে এসেছে। সামিট গাজীপুর-২  ৩০০ মেগাওয়াটের  কেন্দ্রে সামিট পাওয়ারের অংশীদার ২০ শতাংশ বা ৬০ মেগাওয়াট। আর সামিট গাজীপুর-১ ১৪৯ মেগাওয়াটের এসিই পাওয়ার প্লান্টে সামিট পাওয়ারের অংশীদার ৬৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে এই বছর  ( জুলাই ২০১৮ টু জুন ২০১৯) সামিট পাওয়ারের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫৫ মেগাওয়াট বাড়ল। আশা করা যায় নতুন দুই কেন্দ্র থেকে সামিটের আয় প্রায় ১ টাকা বাড়বে।  

তথ্য সূত্রঃ
১। https://summitpowerinternational.com/article.html
২। http://bonikbarta.net/bangla/news/2017-08-05

1 টি মন্তব্য: