গত দুই পর্বে আমরা বেঞ্জামিন গ্রাহাম নাম্বার ও আর্নিং ইল্ড নির্ভর ভ্যালুয়েশন দেখেছি। এই দুইটা দেখার পর অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে সরকারি ৩ তেল কোম্পানি অনেক আন্ডার ভ্যালুড তাহলে । কারণ বেঞ্জামিন গ্রাহাম নাম্বার ও আর্নিং ইল্ড নির্ভর ভ্যালুয়েশন - দুই তরিকাতেই দাম ৫০০+ আসে। অথচ বাজারে দাম ২০০ টাকার আশেপাশে - এর ব্যাখ্যা কি?
সরকারী ৩ তেল কোম্পানির সিংহ ভাগ আয় আসে ব্যাংক এফডিয়ার থেকে। আয় যা করে তার অর্ধেক ও ডিভিডেন্ড দেয় না। ডিভিডেন্ড না দিয়ে রিজার্ভে যা রেখে দেয় সেটা তেল বা অন্য ব্যবসা বাড়াতে খরচ করে না। ঐটা ও ব্যাংকে এফডিয়ার করে। অর্থাৎ মূল ব্যবসার গ্রোথ কম। ইলেকট্রিক যানবাহন যে ভাবে রাস্তা দখল করছে তাতে তেল বিক্রি হু হু করে বাড়বে সেই সম্ভবনা কম।
সাধারণ শেয়ার হোল্ডাররা ডিভিডেন্ড যা পাবে সেটাই তাদের আয়। সুতরাং এই কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন ডিভিডেন্ড কত পাওয়া যাচ্ছে তার উপর হওয়া অধিক বাস্তব সম্মত।
উদাহরণ হিসেবে মেঘনা পেট্রলিয়াম এই বছর এনুয়াল ইপিএস দেখাতে পারে ৫০ টাকার আশেপাশে। গত বছর ১৭ টাকা ক্যাশ দিয়েছে। এই বছর যদি ১০% ডিভিডেন্ড বাড়ায় তাহলে ১৯ টাকা ডিভিডেন্ড দিতে পারে বলে ধারনা করা যায় । তাহলে এই ১৯ টাকা ডিভিডেন্ডের জন্য দাম কত হওয়া উচিত ?
৯.৬ টাকা মুনফা/সুদ পাওয়া যায় ১০০ টাকায় (ট্রেজারি বিল রেট)
১ টাকা পাওয়া যাবে ১০০/৯.৬ টাকায়
১৯ টাকা পাওয়া যাবে ১৯*(১০০/৯.৬) টাকায় বা ১৯৭ টাকা ।
অর্থাৎ আমাদের ডিভিডেন্ড বেজ ভ্যালুয়েশন অনুযায়ী মেঘনা পেট্রলিয়ামের দাম হওয়া উচিত ১৯৭ টাকা । বাজারে চলে ২০৮ টাকা । মানে ঠিক দামেই আছে ।
যদি সামনে ট্রেজারির রেট কমে এবং কোম্পানি ডিভিডেন্ড পে-আউট বাড়ায় তবেই সরকারী তেল কোম্পানি গুলোর দাম বৃদ্ধি যৌক্তিক হবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন