বিষয় সন্ধান

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আগামীর সম্ভবনা ৭: কনফিডেন্স সিমেন্ট [CONFIDCEM]

 

পুজিবাজার খুবই আজব এক জায়গা। পাব্লিক সেন্টিমেন্ট কখন কেমন হবে তা আগাম ধারনা করা মুশকিল।  কখোনো গাছে কাঠালের মুচি দেখেই বিনিয়োগকারীগন হাতে তেল মাখা শুরু করেন। আবার অনেক সময় পাকা কাঠাল খুলে এনে প্লেটে সাজিয়ে দিলেও তাদের খাওয়ার ইচ্ছা হয় না।




কনফিডেন্স সিমেন্ট - দেশের প্রথম বেসরকারী সিমেন্ট কোম্পানি। চট্রগ্রাম ভিত্তিক এই কোম্পানির সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা বাৎসরিক ১৫ লাখ টন । যদি ও উৎপাদন হয় ৬-৭ লাখ টন । সিমেন্ট ব্যবসার পাশাপাশি এর লিড-এসিড ব্যাটারি, স্টিল এবং ইলেক্ট্রনিক ইকুইপমেন্ট তৈরির ব্যবসা আছে । ব্যবসা হিসেবে যা খুব একটা আকর্ষনীয় নয় । 
 

 
তবে চিত্র বদলে যায় ২০১৮ সালে কনফিডেন্স সিমেন্টের সহযোগী কোম্পানি ৪ টা নতুন পাওয়ার প্লান্টের চুক্তি পাওয়ার পর । বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশে অন্যতম লাভজনক ব্যবসা । সুতরাং এই খবরে ৭০ টাকায় লেনদেন হওয়া  স্টক ২০০ টাকা হয়ে গেল। অবশ্য ছোট মূলধনের কোম্পানি হওয়ায় মূল্য উত্থান বাড়তি শক্তি পেয়েছিল।

২০২১ সালে এসে আবার ভিন্ন চিত্র ! বছর খানেক আগেই যে ষ্টক নিয়ে বাজার মেতে ছিল তা এখন ১০০-১১০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে! অথচ নতুন চুক্তি করা সেই চার পাওয়ার প্লেন্ট মাত্রই উৎপাদনে এসেছে । ফলে কোম্পানির আয় যেমন এখন বৃদ্ধি পাবে তেমন ডিভিডেন্ড দেয়ার সক্ষমতা ও বাড়বে । অথচ এমন শুভ ক্ষণে পুঁজি বাজার বিচিত্র কোন কারণে সেই ষ্টক নিয়ে তার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে ! বাজার যখন এমন ব্যাখ্যাতিত কারণে উল্টা আচরণ করে তখন আমার বিবেচনায় তা একটি মোক্ষম সুযোগ ভাল ষ্টক কম দামে কেনার।

সিমেন্ট, লিড-এসিড ব্যটারি এবং ইলেকট্রিক ইকুইপমেন্ট তৈরির ব্যবসা থাকলে ও আগামী দিন গুলতে বিদ্যুৎ ব্যবসা থেকে এই কোম্পানি অধিক মুনফা করবে । যার চালিকা শক্তি হবে এর সহযোগী কোম্পানি কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিং লিমিটেড । যেখানে কনফিডেন্স সিমেন্টের মালিকানা ৪৩.৬৬ শতাংশ । মোট ৩৯৩.৩৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমাটা রয়েছে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিং লিমিটেডের। অর্থাৎ
কনফিডেন্স সিমেন্টের অংশিদারিত্ব হল ১৭১.৭ মেগাওয়াট ।

 

   


কনফিডেন্স সিমেন্ট
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর২০-ডিসেম্বর২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৭৯ পয়সা। অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই২০-ডিসেম্বর২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড আয় হয়েছে ৮ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ০৫ টাকা ১২ পয়সা।

সর্বশেষ প্রকাশিত ২য় প্রান্তিক প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট যে, নতুন পাওয়ার প্লান্টগুল কোম্পানির আয়কে এই বছর নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে । বর্তমানে কোম্পানিটির প্রজেক্টেড ইয়ার্লি ইপিএস ১৬ টাকা আর পিই ৬.৮ ! ৬৬ টাকা এনেভির এই কোম্পানিটিকে ১০০-১১০ প্রাইস রেঞ্জে কিনতে পারা তাই আমার বিবেচনায় দারুণ একটি সুযোগ
।     

আপডেট-১ [০৩-০২-২০২২]:   কনফিডেন্স সিমেন্টের সহযোগী কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম গ্যাস/আর-এলএনজিভিত্তিক ৬৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন পেয়েছে। কনসোর্টিয়ামভুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিই ক্যাপিটাল ইউএস হোল্ডিংস ইনকরপোরেশন, কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড ইলেকট্রোপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কম্বাইন্ড সাইকেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্থাপন করা হবে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে ২২ বছরের জন্য কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের কাছে। এছাড়া জিই ক্যাপিটাল ইউএস হোল্ডিংস ইনকরপোরেশনের ২০ শতাংশ, কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেডের শতাংশ এবং ইলেকট্রোপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শতাংশ শেয়ার রয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্টের কাছে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।






1 টি মন্তব্য: