বিষয় সন্ধান

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩

বাংলাদেশের আইএমএফ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাওয়া নিশ্চিত

 


সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আইএমএফ আজ নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশ ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেতে যাচ্ছে। যা আগামী ৪২ মাসে সমান ৭ কিস্তিতে দেয়া হবে । চলমান আর্থিক সংকটে বাংলাদেশের এই ঋণ প্রাপ্তি দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য এটা সুখবর।

তবে অন্যান্য অর্থ সহায়তা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আইএমএফ এর পার্থক্য হল ঋণ দেয়ার পাশাপাশি তারা ঋণ গ্রহীতা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কারের জন্য কাজ করে থাকে। ঠিক যেমনটা এবারের ঋণ অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশকে ত্রিশ টি সংস্কার মূলক পদক্ষেপ নেয়ার শর্ত দেয়া হয়েছে। সবগুল শর্ত জানা না গেলে ও দেশের পত্র-পত্রিকায় বেশ কিছু এসেছে । এগুলোর মধ্যে উল্লেখুযোগ্য হল -   

১) জ্বালানিতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা এবং ডায়নামিক প্রাইসিং চালু করাঃ  এতে সামনের দিন গুলতে তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আরো কিছুটা বাড়বে। এই খাতে দেয়া সরকারের ভর্তুকি কমে আসবে।
২) ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাজার ভিত্তিক করাঃ   এতে ৬-৯ সুদ হার কার্যত উঠে যাবে। লিকুইডিটি ক্রাইসিস চলমান থাকায় স্বল্প মেয়াদে সুদ হার বাড়বে।
৩) ডলার রেট বাজারের উপর ছেড়ে দেয়াঃ  দেশের ফরেন রিজার্ভের উন্নতি না হলে আগামীতে টাকা হয়তো আরো কিছুটা মূল্য হারাবে।

ছোট বড় মিলিয়ে এমন আরো ২৭টি সহ মোট ৩০টি রিফর্ম করার অংগিকার বাংলাদেশ করেছে। যা বাস্তবায়ন হবে আগামী ৪২ মাসে। মোদ্দা কথা আগামী ৬-৯ মাসে অনেক পলিসি রিফর্ম আসবে। কিছু রিফর্ম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিছু কিছু ব্যবসার জন্য এই পরিবর্তন গুলোর সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। স্বল্প মেয়াদে মুনফা কমে যেতে পারে, এমনকি এক-দুই প্রান্তিকে লস ও হতে পারে। পরিবর্তনের এই সময়টা কষ্টে-সৃষ্টে পার হতে পারলে ধীর্ঘ মেয়াদে আর্থিক খাতে আনা  রিফর্মগুলোর সুফল মিলবে নিশ্চিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন