করোনার কারনে দেশে বিদেশে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেছে অথবা
যাবে অদূর ভবিষ্যতে। জেসি পেনি, পিকক এর মত টপ ইন্টারন্যাশনাল ব্রেন্ড এই
কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এদের সাপ্লায়ার দেশী
গার্মেন্টসগুলা ও বিল না পেলে দেউলিয়া হয়ে যাবে। এটা একটা সেক্টরের উদাহরণ
মাত্র। অন্য সেক্টরের অবস্থা ও কম বেশি এক। আমাদের দেশী ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানগুলোর অবশ্য ইউরোপ-আমেরিকার মত নিজেদের
দেউলিয়া ঘোষণা করার রেওয়াজ কম। মরা হাতি যেমন লাখ টাকা তেমন মরা বিজনেস
কাগজে কলমে জেন্ত দেখিয়ে ব্যাংক লোন নিয়ে তা গায়েব করে দেয়র সংস্কৃতি
এখানে।
পুজিবাজারে লক্কর
ঝক্কর মার্কা খাইরুল কোং এর আগমন কম ঘটেনি গত ১০ বছরে। ঐ সব ভাংগারির দোকান
আগে থেকেই ইমিউনিটি কম্প্রোমাইজড। এবার করোনার হামলায় পরপারে চলে গেলে
কারো কিছু বলার বা করার থাকবে না। নতুন কমিশন হাত ধুয়ে বলবে এদের
কোমর্ডিটি ছিল তাই ইনালিল্লাহ, ওই কোম্পানি আমার আমলের না। এরা ইতিমধ্যেই
ব্যাংক লোন লুটেছে, পুজিবাজারে আইপিওর টাকা লুটেছে, স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে
দিয়ে সেকেন্ডারি ট্রেডারদের পকেট খালি করেছে। আর বেশি কিছু চাওয়া পাওয়া
তাদের নাই। করোনা মহামারি উপলক্ষে গলায় ডেথ সার্টিফিকেট ঝুলিয়ে শেষ মাইরটা
দিয়ে বিদাই নেয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে নিকট ভবিষ্যতে।
তাই পুজিবাজারের ট্রেডার ভাইদের কাছে একটাই অনুরোধ - ট্রেড করেন সমস্যা নাই। টাকা আপনার ঝুকি ও আপনার। টেকনিক্যাল চার্ট দেখে হোক আর অন্যদের প্ররোচনায় হোক আর্থিক ভাবে দূর্বল কোম্পানি কেনা-বেচা করার আগে দুই বার ভাবেন। যে কোম্পানির শেয়ার কিনে পোর্টফলিও গোডাউন বানিয়ে ফেলেছেন সেই কোম্পানির ভাগ্য যাতে এমারেন্ড অয়েল, কেয়া কসমেটিক, ইউনাইটেড এয়ার না হয়ে যায়। চাইনিজ বিজনেস টাইকুন, আলি বাবার জ্যাক মা বলেছেন, ২০২০ সাল হল টিকে থাকার বছর। বেচে থাকাই হল এই বছরের শ্রেষ্ঠ মুনাফা। কোম্পানি বেচে থাকলে অনেক ব্যবসা হবে ভবিষ্যতে।
তাই আগামী ১২-১৮ মাস কোম্পানি টিকতে পারবে কি না - সেই বিষয়টিকে শেয়ার বাছাই করার জন্য টপ প্রায়োরিটি দিন। টেকনিক্যাল চার্ট যত সুন্দরই হোক আর যত লো-পাইডাপই হোক কোম্পানির ব্যবসার কেমন চলে সেই খোঁজ খবর নিয়ে বিনিয়োগ করুন। দাম বাড়তে দেখলেই অন্ধের মত ঝাপিয়ে পইরেন না। নইলে কেপিসিএল এর ২০০-৩০০ যাবেই যাবে বইলা ক্যানভাসারগন যেমন দেড় মাস আগে ৫০% উতপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানির স্টক ১২০-১৪০ করে খাইয়ে দিয়েছে, এবারো একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটা অসম্ভব নয়। মাঝ বয়সে এসে ফিডার খাইলে পাওডার বেচা ডিব্বা ওয়ালদের আর দোষ কোথায়। চক পাওডার আর ফুল ক্রিম মিল্ক পাওডারের পার্থক্য আপনাকেই বুঝতে হবে। নইলে ফিডিং নিশ্চিত।
শেয়ার যাচাই-বাছাই এ আগামী ৬-১২ মাস চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। নইলে কোম্পানির মালিক ক্ষমতাবান হলে চার্টার্ড প্লেনে দেশ ছাড়বে, কম ক্ষমতাবান হলে ঋণ খেলাপি হয়ে ফেরারি আসামি হবে, জেল খাটবে। আর আপনি কোম্পানির শেয়ার নামক কাগজের টুকড়া নিয়ে পুজিবাজারে যাবত-জীবনের জন্য কয়েদি হবেন।
তাই পুজিবাজারের ট্রেডার ভাইদের কাছে একটাই অনুরোধ - ট্রেড করেন সমস্যা নাই। টাকা আপনার ঝুকি ও আপনার। টেকনিক্যাল চার্ট দেখে হোক আর অন্যদের প্ররোচনায় হোক আর্থিক ভাবে দূর্বল কোম্পানি কেনা-বেচা করার আগে দুই বার ভাবেন। যে কোম্পানির শেয়ার কিনে পোর্টফলিও গোডাউন বানিয়ে ফেলেছেন সেই কোম্পানির ভাগ্য যাতে এমারেন্ড অয়েল, কেয়া কসমেটিক, ইউনাইটেড এয়ার না হয়ে যায়। চাইনিজ বিজনেস টাইকুন, আলি বাবার জ্যাক মা বলেছেন, ২০২০ সাল হল টিকে থাকার বছর। বেচে থাকাই হল এই বছরের শ্রেষ্ঠ মুনাফা। কোম্পানি বেচে থাকলে অনেক ব্যবসা হবে ভবিষ্যতে।
তাই আগামী ১২-১৮ মাস কোম্পানি টিকতে পারবে কি না - সেই বিষয়টিকে শেয়ার বাছাই করার জন্য টপ প্রায়োরিটি দিন। টেকনিক্যাল চার্ট যত সুন্দরই হোক আর যত লো-পাইডাপই হোক কোম্পানির ব্যবসার কেমন চলে সেই খোঁজ খবর নিয়ে বিনিয়োগ করুন। দাম বাড়তে দেখলেই অন্ধের মত ঝাপিয়ে পইরেন না। নইলে কেপিসিএল এর ২০০-৩০০ যাবেই যাবে বইলা ক্যানভাসারগন যেমন দেড় মাস আগে ৫০% উতপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানির স্টক ১২০-১৪০ করে খাইয়ে দিয়েছে, এবারো একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটা অসম্ভব নয়। মাঝ বয়সে এসে ফিডার খাইলে পাওডার বেচা ডিব্বা ওয়ালদের আর দোষ কোথায়। চক পাওডার আর ফুল ক্রিম মিল্ক পাওডারের পার্থক্য আপনাকেই বুঝতে হবে। নইলে ফিডিং নিশ্চিত।
শেয়ার যাচাই-বাছাই এ আগামী ৬-১২ মাস চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। নইলে কোম্পানির মালিক ক্ষমতাবান হলে চার্টার্ড প্লেনে দেশ ছাড়বে, কম ক্ষমতাবান হলে ঋণ খেলাপি হয়ে ফেরারি আসামি হবে, জেল খাটবে। আর আপনি কোম্পানির শেয়ার নামক কাগজের টুকড়া নিয়ে পুজিবাজারে যাবত-জীবনের জন্য কয়েদি হবেন।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন