বিষয় সন্ধান

শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮

বাজেট ২০০১৮-১৯: বিনিয়োগকারীদের যোগ-বিয়োগের খাতায় শূন্য




প্রতি বছরের ন্যায় এই বছর ও পুজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই আগ্রহ নিয়ে নতুন বাজেট পর্যালোচনা করছেন; পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাচ্ছেন। অর্থমন্ত্রীর প্রেজেন্টেশন দেখে এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন রিপোর্ট পড়ে আমার ধারনা হয়েছে - এবারের বাজেট পুঁজি বাজারের জন্য খুবই গতানুগতিক। বিশেষ কিছু পাওয়ার আনন্দে আত্নহারা অথবা না পাওয়ার বেদনায় নীল হবার মত কিছু এবারের বাজেটে অনুপস্থিত।

এবারের বাজেট থেকে পুজিবাজারের বড় প্রাপ্তি ব্যাংক,ফাইনান্স,ইনস্যুরেন্স ও জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর ২.৫% টেক্স রেয়াত। যা অর্থ সংকটে আক্রান্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিরগুলোকে কিছুটা হলেও সস্তি দেবে। তবে মন্দ ঋণের আড়ালে ব্যাংকগুলো থেকে যে পরিমাণ টাকা লোপাট হয়েছে তার ক্ষত এই ২.৫% মলম দিয়ে সারবে কিনা বলা মুশকিল। মাস দেড়েক পড়ে ব্যাংক-ফাইনাসসের ২য় প্রান্তিক আসলেই প্রকৃত অবস্থা আঁচ করা যাবে। তাই ব্যাংক-ফাইনান্স নিয়ে এখনই উতলা না হয়ে ধীরে চল নীতি নেয়া যেতে পারে। কিছু ব্যাংক-ফাইনান্স যাদের আর্থিক অবস্থা তুলনা মূলক ভাল ও মন্দ ঋণ কম তাদের জন্য এই ছাড় আয় বাড়ানোর উপলক্ষ হবে। এছাড়া ইনস্যুরেন্স ও জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর আয়েও পজেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে বলে আশা করছি।

আর্থিক খাতের বাইরে ঔষধ ও পোশাক খাতের কোম্পানিগুল কিছু কিছু বিশেষ শ্রেণীর কাঁচা মাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও শূন্য শুল্ক সুবিধা পেয়েছে। ফলে তাদের মুনাফাও বাড়বে। তবে এক্ষেত্রে আমি সুবিধা প্রাপ্তি বিবেচনায় পোষক খাতের চাইতে ঔষধ খাতকেই অনেকটা বেশী এগিয়ে রাখব। পাশাপাশি এলএনজি আমদানিকে কেন্দ্র করে শিল্প খাতের গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়াবার প্রকৃয়া চলমান। যোগবিয়োগ শেষে কোম্পানিগুলোর ব্যালেন্স শীট কতটা সাস্থবান হবে তা দেখার বিষয়।  

ব্যাক্তি বিনিয়োগকারী হিসেবে এবারের বাজেট থেকে আমাদের সরাসরি কোন প্রাপ্তি নেই। শূন্য কর আয় সীমা আগের মতই ২.৫ লাখ টাকায় স্থির রয়েছে। ডিভিডেন্ড আয়ের উপর শূন্য কর সীমা আগের মতই ২৫ হাজার টাকায় নির্দিষ্ট আছে । আমার বিবেচনায় পুঁজি বাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য এবারের বাজেট হল জিরো-সাম গেম। বাজেট নিয়ে উৎফুল্ল হবার মত বিশেষ কিছু নেই আবার আতঙ্কিত হবার মত ও কিছু নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন