বিষয় সন্ধান

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

হতাশার মাঝেই আশার আলো !




এমজেএল সম্ভবত ৪৫/৫০ থাকা থেকে ১৪০+ হয়েছিল। সামিট ২২ থেকে ৫০, বারাকা ২০-২২ থেকে ৫০, ডরিন ৪৫/৫০ থেকে ১৬০+ ২০১২-১৩ সালের ১৪০/৫০ টাকার স্কয়ার - জিপির উদাহরণ না হয় না ই দিলাম।

তাই দাম কমলেই হতাশ হওয়ার কিছু নাই। চিন্তা ভাবনা করতে চাইলে - সোনার দামে লোহা কিনেছেন না কি কাচের দামে হিরা সেই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করেন। কোম্পানি ভাল হলে আর টিকে থাকলে পুজিবাজারে স্টক তার ন্যায্য দাম ফিরে পারে। আগামী কাল -পরশু না হলেও ৩/৪ বছরের মধ্যে অবশ্যই।

পোর্টফলিও তে শেয়ারের দাম ৩০-৪০% কমে যাওয়ার কারনে নিশ্চই কোম্পানির ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় নাই অথবা এই বছরে কোম্পানির মুনাফা ৩০-৪০% কম হবে না। ভাল কোম্পানির স্টক হোল্ড করে তার পরেও যদি আপনার টেনশন হয় - তবে বুঝতে হবে আপনি কোম্পানির মালিকানা কেনেন নাই, কিনেছেন লটারির টিকিট। কোম্পানির ডিভিডেন্ড এর উপর ভরসা না করে প্রাইস মুভমেন্ট স্পেকুলেশন করেছিলেন।


ক্রিকেটে একটা কথা আছে 'Form is temporary but class is permanent'. আপনার হোল্ডিং স্টকের ক্লাস থাকলে টেম্পরারি প্রাইস ফ্লাকচ্যুয়েশন নিয়ে বিশেষ চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। আর যদি ক্লাস না থাকে তবে সর্ট টার্ম প্রাইস মুভমেন্ট স্পেকুলেশন করা আর কেসিনোতে গিয়ে হাই স্টেক নিয়ে জুয়া খেলায় মধ্যে বিশেষ কোন তফাত নাই - জিততে না পারলে শুন্য পকেটে রাস্তা মাপতে হবে।

প্রথম পুরষ্কার দুই ক্ষেত্রেই ৩০ লক্ষ টাকা । এখন আপনি ১০ টাকায় লটারির টিকিট বছরে ৩/৪ বার কিনবেন না ৫০০ টাকায় প্রাইজ বন্ড জীবনে এক বার কিনবেন তা আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দ। বাজারে প্রাইজ বন্ড, আহসানিয়া মিশন লটারি দুইটাই পাওয়া যায়। পুজি হারিয়ে বাজারের ঘাড়ে দোষ দেয়ার আগে নিজের চয়েস ভুল ছিল কিনা তা ভাবুন।

২টি মন্তব্য: