আমাদের বিনিয়োগকারী
ভাই-বোনদের খুব সাধারণ একটা অভিযোগ হল- 'বাংলাদেশের পুজিবাজারে কোন এনালাইসিস কাজ
করে না'। টেকনিক্যাল, ফান্ডামেন্টাল, বিহেভিয়ারাল সব এনালাইসিস এখানে
বেকার!
প্রথমত বাংলাদেশের পুজিবাজার পৃথিবীর অন্য আট-দশটা পুজিবাজারের মত একই মেকানিজমে তৈরি। হুবুহু ইউরোপ আমেরিকার মার্কেট গুলোকে কপি করেই আমাদের পুজিবাজার গঠিত হয়েছে । মংগল গ্রহ থেকে ইউনিক কিছু আমদানি করে আমাদের পুজিবাজার সৃষ্টি হয় নাই, যাতে করে অন্য দেশের পুজিবাজারে যা কাজ করে তা আমাদের এখানে কাজ করবে না। ইউরোপ আমেরিকার বাজারে যা কাজ করে তা আমাদের বাজারেও কাজ অতীতে করেছে, এখন করছে এবং ভবিষ্যতে ও করবে। নিউটন, আইনষ্টাইনের বৈজ্ঞানিক সূত্র ইউরোপ আমেরিকায় কাজ করে কিন্তু বাংলাদেশে করে না - এই কথা শুনতে কেমন লাগবে?
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আপনাকে চাকুরীর গেরান্টি দেয় না। তবে সেখানে সিস্টেমেটিক উপায়ে যা শেখানো হয় তাতে ভাল করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর চাকুরী পাওয়া সাহজ হয় এবং তারা কর্ম জীবনে তা প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করে। এ কারনেই আমরা স্কুল কলেজে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করি।
যারা বলেন, বাংলাদেশের পুজিবাজারে এনালাইসিস কাজ করে না। তারা অধিকাংশই অন্যের কাছ থেকে শুনে অথবা অন্যের এনালাইসিস ফেল করতে দেখে বলেন যে এনালাইসিস কাজ করে না। তাদের নিজে নিজে এনালাইসিস শেখা এবং শিখে ব্যবহার করার কোন এক্সপিরিএন্স নাই। অন্য আরেক গ্রুপ আছেন যারা শিখার চেষ্টা করেছেন। ২/৪ মাস ফান্ডামেন্টাল নিয়ে নাড়াচাড়া করে উতসাহ হারিয়ে টেকনিক্যাল নিয়ে টানাহেঁচড়া করেছেন ৫/৬ মাস। কিন্তু আগ্রহ নিয়ে কোনটাতেই লেগে থাকেন নাই। ফলাফল ২/৪ টা কোর্স করে, ৩/৪ টা বই পড়ে আর ইউটিউবে ২০/২৫ টা টিউটরিয়াল দেখে নবিশ হাতে এনালাইসিস করা এবং তাতে ফেল মেরে আংগুর ফল টক জাতিয় সিদ্ধান্ত নেয়া যে, 'এনালাইসিস করা বেকার বাংলাদেশের পুজিবাজারে'।
অথচ কোন কিছু তে দক্ষতা অর্জন করতে নুন্যতম ১০ হাজার ঘন্টার অনুশীলন প্রয়োজন। একারনেই মানুষকে ১২/১৪/১৬ বছর স্কুল, কলেজ, বিশ্বাবিদ্যালয়ে যেতে হয়। ১২/১৪ বছর আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে ইংরেজি শেখালেও অনেক গ্রাজুয়েটের পেটে বোমা মারলে মুখে দুই লাইন ইংরেজি বের হবে না। আবার একই সিস্টেমে পড়া কেউ চমৎকার ইংরেজি বলতে, লিখতে পাড়ে। অনেকে এত এক্সপার্ট না হলেও কাজ চালানোর মত ইংরেজি টুকু জানেন। কোন ক্লাসের ৩০ জন ছাত্রের ইংরেজি, অংকের স্কিল সমান হয় না। যদিও সবাই একই সিলেবাস এবং শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত হয়েছে।
তা হলে তফাতটা কোথায়? তফাত হল কে কেমন অনুশিলন করে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে কোন স্কিল ডেভেলপ করতে মানুষের নুন্যতম ১০,০০০ ঘন্টার অনুশীলন প্রয়োজন। একারনেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্যান্য বিশেষায়িত কোর্সগুল ৪/৫ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। ১০,০০০ ঘন্টা মানে দিনে ৪ ঘন্টা হলে ৭ বছর, ৬ ঘন্টা হলে প্রায় ৫ বছর এবং ৮ ঘন্টা গলে সোয়া ৩ বছর লাগার কথা। যারা এনালাইসিস কাজ করে না বলে গাল ফুলাচ্ছেন তারা কি এই নুন্যতম সময় টুকু ব্যয় করেছেন? শুধু ট্রেড আওয়ারে ৪ ঘন্টা স্ক্রিন দেখা কোন এনালাইসিস না। ট্রেড আওয়ার হল শিক্ষা কাজে লাগানোর সময়। ট্রেড আওয়ারের বাইরে ৪/৬ ঘন্টা এনালাইসিস শিখতে সময় ব্যয় করুক। কম পক্ষে ৪/৫ বছর শেখা এবং তা হাতে কলমে প্রয়োগ করার অভিজ্ঞতা হলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের পুজিবাজারে এনালাইসিস কাজ করে কি না। কোন শিক্ষাই বেকার না। অন্যের কথায় দিকভ্রান্ত না হয়ে নিজে হাতে কলমে শিখে তার পর বলেন যে - এনালাইসিস কাজ করে না। তার আগে অন্যের কথায় চিলের পেছনে না ছুটে কান কোথায় আছে একটু হত দিয়ে ধরে দেখুন।
প্রথমত বাংলাদেশের পুজিবাজার পৃথিবীর অন্য আট-দশটা পুজিবাজারের মত একই মেকানিজমে তৈরি। হুবুহু ইউরোপ আমেরিকার মার্কেট গুলোকে কপি করেই আমাদের পুজিবাজার গঠিত হয়েছে । মংগল গ্রহ থেকে ইউনিক কিছু আমদানি করে আমাদের পুজিবাজার সৃষ্টি হয় নাই, যাতে করে অন্য দেশের পুজিবাজারে যা কাজ করে তা আমাদের এখানে কাজ করবে না। ইউরোপ আমেরিকার বাজারে যা কাজ করে তা আমাদের বাজারেও কাজ অতীতে করেছে, এখন করছে এবং ভবিষ্যতে ও করবে। নিউটন, আইনষ্টাইনের বৈজ্ঞানিক সূত্র ইউরোপ আমেরিকায় কাজ করে কিন্তু বাংলাদেশে করে না - এই কথা শুনতে কেমন লাগবে?
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আপনাকে চাকুরীর গেরান্টি দেয় না। তবে সেখানে সিস্টেমেটিক উপায়ে যা শেখানো হয় তাতে ভাল করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর চাকুরী পাওয়া সাহজ হয় এবং তারা কর্ম জীবনে তা প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করে। এ কারনেই আমরা স্কুল কলেজে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করি।
যারা বলেন, বাংলাদেশের পুজিবাজারে এনালাইসিস কাজ করে না। তারা অধিকাংশই অন্যের কাছ থেকে শুনে অথবা অন্যের এনালাইসিস ফেল করতে দেখে বলেন যে এনালাইসিস কাজ করে না। তাদের নিজে নিজে এনালাইসিস শেখা এবং শিখে ব্যবহার করার কোন এক্সপিরিএন্স নাই। অন্য আরেক গ্রুপ আছেন যারা শিখার চেষ্টা করেছেন। ২/৪ মাস ফান্ডামেন্টাল নিয়ে নাড়াচাড়া করে উতসাহ হারিয়ে টেকনিক্যাল নিয়ে টানাহেঁচড়া করেছেন ৫/৬ মাস। কিন্তু আগ্রহ নিয়ে কোনটাতেই লেগে থাকেন নাই। ফলাফল ২/৪ টা কোর্স করে, ৩/৪ টা বই পড়ে আর ইউটিউবে ২০/২৫ টা টিউটরিয়াল দেখে নবিশ হাতে এনালাইসিস করা এবং তাতে ফেল মেরে আংগুর ফল টক জাতিয় সিদ্ধান্ত নেয়া যে, 'এনালাইসিস করা বেকার বাংলাদেশের পুজিবাজারে'।
অথচ কোন কিছু তে দক্ষতা অর্জন করতে নুন্যতম ১০ হাজার ঘন্টার অনুশীলন প্রয়োজন। একারনেই মানুষকে ১২/১৪/১৬ বছর স্কুল, কলেজ, বিশ্বাবিদ্যালয়ে যেতে হয়। ১২/১৪ বছর আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে ইংরেজি শেখালেও অনেক গ্রাজুয়েটের পেটে বোমা মারলে মুখে দুই লাইন ইংরেজি বের হবে না। আবার একই সিস্টেমে পড়া কেউ চমৎকার ইংরেজি বলতে, লিখতে পাড়ে। অনেকে এত এক্সপার্ট না হলেও কাজ চালানোর মত ইংরেজি টুকু জানেন। কোন ক্লাসের ৩০ জন ছাত্রের ইংরেজি, অংকের স্কিল সমান হয় না। যদিও সবাই একই সিলেবাস এবং শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত হয়েছে।
তা হলে তফাতটা কোথায়? তফাত হল কে কেমন অনুশিলন করে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে কোন স্কিল ডেভেলপ করতে মানুষের নুন্যতম ১০,০০০ ঘন্টার অনুশীলন প্রয়োজন। একারনেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্যান্য বিশেষায়িত কোর্সগুল ৪/৫ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। ১০,০০০ ঘন্টা মানে দিনে ৪ ঘন্টা হলে ৭ বছর, ৬ ঘন্টা হলে প্রায় ৫ বছর এবং ৮ ঘন্টা গলে সোয়া ৩ বছর লাগার কথা। যারা এনালাইসিস কাজ করে না বলে গাল ফুলাচ্ছেন তারা কি এই নুন্যতম সময় টুকু ব্যয় করেছেন? শুধু ট্রেড আওয়ারে ৪ ঘন্টা স্ক্রিন দেখা কোন এনালাইসিস না। ট্রেড আওয়ার হল শিক্ষা কাজে লাগানোর সময়। ট্রেড আওয়ারের বাইরে ৪/৬ ঘন্টা এনালাইসিস শিখতে সময় ব্যয় করুক। কম পক্ষে ৪/৫ বছর শেখা এবং তা হাতে কলমে প্রয়োগ করার অভিজ্ঞতা হলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের পুজিবাজারে এনালাইসিস কাজ করে কি না। কোন শিক্ষাই বেকার না। অন্যের কথায় দিকভ্রান্ত না হয়ে নিজে হাতে কলমে শিখে তার পর বলেন যে - এনালাইসিস কাজ করে না। তার আগে অন্যের কথায় চিলের পেছনে না ছুটে কান কোথায় আছে একটু হত দিয়ে ধরে দেখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন