বিনিয়োগ সময় কালঃ ১৬ই আগস্ট থেকে ১৪ই অক্টবর ২০১৬, ২ মাস।
মুনাফার হারঃ ১৬ শতাংশ
ঘটনার সূত্রপাত মার্চ ২০১৬ এর মাঝামাঝি সময়ে, ২০১৫ সালের ডিভিডেন্ডের সাথে Summit, SPPCL ও Summit Narayanganj এর এমাল্গেমেশনের ঘোষনা আসে। ঘোষনার পর থেকেই শুরু হয় SPPCL এর মূল্য পতন। শুরুতে এই পতন ছিল যৌক্তিক কারন Summit এর চাইতে SPPCL এর বাজার মূল্য, এনএভি, ইপিএস সবই বেশী ছিল। ডিভিডেন্ড এডজাস্টমেন্টের পর এই পতন আরও তরান্বিত হয়।
আগস্টের শুরুতেই Summit ৩৪-৩৬ টাকায় ও SPPCL ৪০-৪২ টাকায় নেমে আসে। এমাল্গেমেশনের রেকর্ড ডেটের এক সপ্তাহ আগের অবস্থা আরও খারাপ, Summit ৩২-৩৩ টাকায় ও SPPCL ৩৮-৪০ টাকায় লেনদেন হতে থাকে। আর এখানেই সৃষ্টি হয় সুযোগ। কোন ষ্টক ঘিরে বাজারে যখন প্রচণ্ড হতাশা (Panic) তৈরী হয় তখন বিনিয়োগকারীগণ খুব সাধারন হিসাবও ভুলে যায়। কে কার আগে সেল দিয়ে স্টকটি থেকে বের হবে সেই প্রতযোগীতায় নেমে যায় সবাই।
SPPCL এর একটি শেয়ারের বিপরীতে Summit এর ১.৩০৯ টি শেয়ার দেয়ার ঘোষণা ছিল। বাজারে তখন Summit এর দাম ৩২ টাকা। সেই হিসেবে SPPCL এর দাম হওয়া উচিত ৩২*১.৩০৯=৪১.৯ টাকা। কিন্তু পেনিকের শিকার স্টকটি তখন বিক্রি হতে থাকে মাত্র ৩৮-৪০ টাকায়। ১৬ই আগস্ট থেকে রেকর্ড ডেটের আগ পর্যন্ত অল্প অল্প করে কিনতে থাকি। শেষ ট্রেডিং ডে তে আমার SPPCL এর এভারেজ কালেকশন রেট ছিল ৩৯ আর Summit এর ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩২। মানে SPPCL কে Summit এ কনভার্ট করলে আমার গড় ক্রয় মূল্য দাড়ায় ৩০ টাকা !
কিন্তু ভাগ্য খারাপ কোম্পানি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপড়েনে প্রায় দেড় মাসের জন্য সামিটের লেনদেন আটকে যায়। যেখানে এক সপ্তাহে মুনাফা পাওয়া যেত সেখানে প্রায় ৪০ দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্টবরের ১০ তারিখে সামিট আবার লেনদেনে ফিরে আসে। প্রাথম দুই দিনেই দাম উঠে যায় ৩৫-৩৬। কয়েক ধাপে বিক্রি করে আমার গড় বিক্রিয় মূল্য দাঁড়ায় ৩৫ টাকা। ৩০ টাকার শেয়ারে ৫ মুনাফা ! দুই মাসেই লাভ ১৬%। প্রচণ্ড হতাশা ও মাঝে মাঝে মুনাফা দেয়, শুধু নিজে পেনিক না হয়ে সুযোগটি চিনতে পারা ও সেই অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করতে পারলেই মুনাফা নিশ্চিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন