পূঁজি বাজারে তালিকা ভূক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের অবিশ্বাস -সন্দেহ বহু পুরোনো। নিয়ম নীতি না মেনে মন গড়া আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগের পাশাপাশি সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে তথ্যগত গড়মিল ও লুকোচুরির অভিযোগ। বিশেষ করে বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে এই ধরণের তথ্যগত গড়মিল বেশী মাত্রায় লক্ষণীয়। কোম্পনিগুল প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় প্রান্তিকে অনিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগে ইপিএস, এনএভি বেশী দেখালেও চূড়ান্ত নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ইপিএস, এনএভি এর আসল চেহারা বেরিয়ে যাচ্ছে।
পদ্ধতিগত কারনেই অনিরিক্ষিত ও নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কিছুটা গড়মিল হতেই পারে। কিন্তু তা কোন ভাগেই পাচ-দশ ভাগের বেশি হবার কথা নয়। নতুন লিস্টিং রেগুলেশ ২০১৫ তে আইন থাকা সত্যেও কোম্পানিগুল অতিমাত্রায় গড়মিলের ক্ষেত্রেও কোন ধরণের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিচ্ছে না। ফলে নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত কম এনএভি, ইপিএস বিনিয়োগকারীদের হতাশা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ডিভিডেন্ড প্রাপ্তির সম্ভবনা কমিয়ে দিচ্ছে।
তবে প্রত্যাশিত আয় করেও তা বিলম্বে প্রকাশ করে নতুন কারসাজির জন্ম দিয়েছে আমাদের পূঁজি বাজারে তুলনা মূলক পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল। কোম্পানিটি এই বছর (জানুয়ারী ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬, ১৮ মাস) প্রথম তিন প্রান্তিকে কন্সসলিডেটেড ইপিএস দেখিয়েছে যথাক্রমে ১.২৫, ১.২২ ও ১.০৯ টাকা। অর্থাৎ প্রথম ৯ মাসে কন্সসলিডেটেড ইপিএস দেখিয়েছে ৩.৭৩ টাকা। যারা কোম্পানির আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করেন তাঁরা সবাই প্রত্যাশা করেছিলেন ১৮ মাসে প্রায় দিগুণের কাছাকাছি (৭ থেকে ৭.৫ টাকা) ইপিএস আসবে।
কিন্তু সবাইকে হতবাক করে দিয়ে কোম্পানিটি ১৮ মাসে মাত্র ৪.৫৭ টাকা ইপিএস দেখায়। যে কোম্পানি প্রথম ৯ মাসে ৩.৭৩ টাকা আয় করেছে, সেই একই কোম্পানি শেষ ৯ মাসে মাত্র ০.৮৪ টাকা আয়ের খবর রীতিমত অবিশ্বাস্য। শেষ ৯ মাসে কোম্পানির উৎপাদন যেমন বন্ধ ছিল না তেমনি সামগ্রিক ভাবে দেশের পোষাক খাতেও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। তাই স্কায়ার টেক্সটাইলের প্রথম ৯ মাস ও শেষ ৯ মাসের আয়ের অবিশ্বাস্য পার্থক্য নিশ্চিত ভাবেই ব্যাখ্যার দাবী রাখে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে কোম্পানিটি কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ডিএসই বা বিএসইসি এর পক্ষ থেকেও ব্যাখ্যা দাবি করা হয় নি। ফলে শেষ বিচারে অপ্রত্যাশিত কম ইপিএস আসায় ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন স্কয়ার টেক্সটাইলের বিনিয়গকারীগন।
কিন্তু কারসাজী এখানেই শেষ হয় নি। কোম্পানির এনুয়াল রিপোর্টে পূর্ন আর্থিক প্রতিবেদন (নিরিক্ষিত) প্রকাশিত হলে তথ্য লুকচুরির আসল চিত্র বেড়িয়ে আসে। সেই রিপোর্টে কোম্পানির ১৮ মাসে আন-কন্সসলিডেটেড ইপিএস ৪.৫৭ টাকা ও কন্সসলিডেটেড ইপিএস দেখানো হয় ৭.০২ টাকা! অর্থাৎ স্কয়ার টেক্সটাইল প্রাথম তিন প্রান্তিকের কন্সসলিডেটেড ইপিএস এর তথ্য বাজারে সরবরাহ করলেও শেষ প্রান্তিকে আন-কন্সসলিডেটেড ইপিএসের তথ্য বাজারে সরবরাহ করে ২.৪৫ টাকা আয় গোপন করেছে। অথচ কোম্পানি যদি প্রাথম তিন প্রান্তিকের ধারাবাহিকতায় এনুয়ালী কন্সসলিডেটেড ইপিএস প্রকাশ করত, তবে আদের ইপিএস হত ৭.০২ টাকা।
পদ্ধতিগত কারনেই অনিরিক্ষিত ও নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কিছুটা গড়মিল হতেই পারে। কিন্তু তা কোন ভাগেই পাচ-দশ ভাগের বেশি হবার কথা নয়। নতুন লিস্টিং রেগুলেশ ২০১৫ তে আইন থাকা সত্যেও কোম্পানিগুল অতিমাত্রায় গড়মিলের ক্ষেত্রেও কোন ধরণের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিচ্ছে না। ফলে নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত কম এনএভি, ইপিএস বিনিয়োগকারীদের হতাশা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ডিভিডেন্ড প্রাপ্তির সম্ভবনা কমিয়ে দিচ্ছে।
তবে প্রত্যাশিত আয় করেও তা বিলম্বে প্রকাশ করে নতুন কারসাজির জন্ম দিয়েছে আমাদের পূঁজি বাজারে তুলনা মূলক পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল। কোম্পানিটি এই বছর (জানুয়ারী ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬, ১৮ মাস) প্রথম তিন প্রান্তিকে কন্সসলিডেটেড ইপিএস দেখিয়েছে যথাক্রমে ১.২৫, ১.২২ ও ১.০৯ টাকা। অর্থাৎ প্রথম ৯ মাসে কন্সসলিডেটেড ইপিএস দেখিয়েছে ৩.৭৩ টাকা। যারা কোম্পানির আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করেন তাঁরা সবাই প্রত্যাশা করেছিলেন ১৮ মাসে প্রায় দিগুণের কাছাকাছি (৭ থেকে ৭.৫ টাকা) ইপিএস আসবে।
কিন্তু সবাইকে হতবাক করে দিয়ে কোম্পানিটি ১৮ মাসে মাত্র ৪.৫৭ টাকা ইপিএস দেখায়। যে কোম্পানি প্রথম ৯ মাসে ৩.৭৩ টাকা আয় করেছে, সেই একই কোম্পানি শেষ ৯ মাসে মাত্র ০.৮৪ টাকা আয়ের খবর রীতিমত অবিশ্বাস্য। শেষ ৯ মাসে কোম্পানির উৎপাদন যেমন বন্ধ ছিল না তেমনি সামগ্রিক ভাবে দেশের পোষাক খাতেও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। তাই স্কায়ার টেক্সটাইলের প্রথম ৯ মাস ও শেষ ৯ মাসের আয়ের অবিশ্বাস্য পার্থক্য নিশ্চিত ভাবেই ব্যাখ্যার দাবী রাখে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে কোম্পানিটি কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ডিএসই বা বিএসইসি এর পক্ষ থেকেও ব্যাখ্যা দাবি করা হয় নি। ফলে শেষ বিচারে অপ্রত্যাশিত কম ইপিএস আসায় ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন স্কয়ার টেক্সটাইলের বিনিয়গকারীগন।
কিন্তু কারসাজী এখানেই শেষ হয় নি। কোম্পানির এনুয়াল রিপোর্টে পূর্ন আর্থিক প্রতিবেদন (নিরিক্ষিত) প্রকাশিত হলে তথ্য লুকচুরির আসল চিত্র বেড়িয়ে আসে। সেই রিপোর্টে কোম্পানির ১৮ মাসে আন-কন্সসলিডেটেড ইপিএস ৪.৫৭ টাকা ও কন্সসলিডেটেড ইপিএস দেখানো হয় ৭.০২ টাকা! অর্থাৎ স্কয়ার টেক্সটাইল প্রাথম তিন প্রান্তিকের কন্সসলিডেটেড ইপিএস এর তথ্য বাজারে সরবরাহ করলেও শেষ প্রান্তিকে আন-কন্সসলিডেটেড ইপিএসের তথ্য বাজারে সরবরাহ করে ২.৪৫ টাকা আয় গোপন করেছে। অথচ কোম্পানি যদি প্রাথম তিন প্রান্তিকের ধারাবাহিকতায় এনুয়ালী কন্সসলিডেটেড ইপিএস প্রকাশ করত, তবে আদের ইপিএস হত ৭.০২ টাকা।
Trading Code: | SQUARETEXT |
News: | The Board of Directors has recommended 25% cash and 10% stock dividend for the 18 months period ended on June 30, 2016. Date of AGM: 08.09.2016, Time: 10:00 AM, Venue: RAOWA Convention Hall-2, DOHS Mohakhali, Dhaka. Record Date: 23.08.2016. The Company has also reported EPS of Tk. 4.57, NOCFPS of Tk. 8.34 and NAV per share of Tk. 34.47 for the 18 months period from January 2015 to June 2016 (cont.) |
Post Date: | 2016-08-02 |
বাজারে নিবন্ধিত অন্যান্য কোম্পানি যাদের সাবসিডিয়ারী অথবা এসোসিয়েট কোম্পানি রয়েছে তাঁরা সকলেই চূড়ান্ত আর্থিক প্রতিবেদনে কন্সসলিডেটেড ইপিএস প্রদর্শন করে আসছে। কিন্তু স্কয়ার টেক্সটাইল এই প্রচলিত ধারায় না গিয়ে বছর শেষে শুধু মাত্র আন-কন্সসলিডেটেড ইপিএস প্রদর্শন করেছে। যার মাধ্যমে ২.৪৫ টাকা আয় কম দেখিয়ে শেয়ারের বাজার মূল্য প্রভাবিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করেছে।
পূঁজি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ডিএসই বা বিএসইসি এর কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ঘটনার তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যাক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হোক। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোন কোম্পানি এই ধরণের তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করতে না পারে। এ ধরণের দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমেই পূঁজি বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন