দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের দারুন মিলন মেলা আমাদের শেয়ার বাজার। কে নেই এখানে? ছাত্র-শিক্ষক, চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী, বেকার আথবা অবসরে যাওয়া ব্যক্তি থেকে শুরু করে ঘরের গৃহীনি সবাই আছেন এখানে। সবার উদ্দেশ্য একটাই বিকল্প আয়ের সংস্থান করা। চাকুরীজীবী ব্যবসায়ীদের কাছে শেয়ার বাজার যেমন আতিরিক্ত আয়ের উৎস তেমনি ছাত্র-ছাত্রী/গৃহিণীদের কাছে তা হাত খরচের যোগান দাতা। আনেক বেকার যুবক-যুবতী ও আবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিকল্প কর্মসংস্থানের স্থান এই শেয়ার বাজার।
নানা পেশার মানুষজন বাজারের বৈচিত্র যেমন বাড়িয়েছি ঠিক তেমনি সৃষ্টি করেছে বিশেষায়িত জ্ঞানের ভারসাম্যহীনতা। ইংরেজিতে একটি কথা আছে There is no free lunch in corporate world অর্থাৎ পরিশ্রম ছাড়া অর্থ প্রাপ্তি অসম্ভব। প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে শেয়ার বাজার থেকে আয়ের জন্য কোন ধরনের পরিশ্রম প্রয়োজন? উত্তর একটাই এখানে আপমাকে মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিশ্রম করেই অর্থ উপার্জন করতে হবে। যেহেতু আমাদের বাজারের বৃহৎ অংশ অন্যের কথায় কোন রুপ পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই শেয়ার কেনাবেচা শুরু করে, সেহেতু শেয়ার বাজারের অনেক সাধারন জ্ঞান তাদের চড়া মূল্যে (সময় ও পুঁজি হারিয়ে) শিখতে হয়।
বাজারে লেনদেন কারীদের মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায় - শেয়ার ব্যবসায়ী ও শেয়ার বিনিয়োগকারী। মুদি দোকানি যেমন পাইকারী দরে কেনা চালের বস্তা ১/২ সপ্তাহে বেচে লাভ করে ঠিক সেইভাবে শেয়ার ব্যবসায়ী ২/৩ সপ্তাহে কেনাবেচা করে একটি স্টক থেকে লাভ করার চেষ্টা করে। ধান চাষী যেমন ভাল বীজ থেকে চাঁড়া তৈরি, রোপন, সেচ, সার ও কীটনাশক দিয়ে ৪/৫ মাসে অক্লান্ত শ্রমে ধান উথপাদন করে ঠিক তেমনি এক জন বিনিয়োগকারী চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ভাল শেয়ার বাছাই করে, অপেক্ষায় থেকে কম দামে পছন্দের শেয়ারগুল ক্রয় করে এবং সর্বশেষে আকর্শনীয় দামে বিক্রি করে লাভ নিশ্চিত করে। আর এই প্রক্রিয়ায় লাভ পেতে একজন বিনিয়গকারিকে ৬ থেক ১২ মাস কিংবা আরও বেশি সময় শেয়ার ধরে রাখতে হয়।
প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রত্যাশা ও চাহিদা যেমন ভিন্ন ঠিক তেমনি ভিন্ন তাদের বিনিয়গযোগ্য পুঁজির পরিমান। আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন না ব্যবসা করবেন তা নির্ভর করে আপনার পুঁজির পরিমান ও সময়ের উপর। যাদের ট্রেড আওয়ারের প্রতিটি মূহুর্তে বাজারে চোখ রাখা সম্ভব নয় আবার পুঁজির পরিমান কম তাদের জন্য উত্তম পন্থা হল শেয়ারে বিনিয়োগ করা। যারা পুঁজি বাজারকে দ্বিতীয়/তৃতীয় আয়ের মাধ্যম হিসেবে নিতে চাইছেন তাদের জন্যেও বিনিয়োগ করাই অধিক সুবিধাযনক। মাত্র ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে আপনি বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন, লাভ হলে পূনঃ বিনিয়োগ করে আথবা ৩/৬ মাস পর পর ইন্সটলমেন্ট আকারে নতুন বিনিয়োগ করে পুঁজির পরিমান বৃদ্ধি করুন। তুলনামূলক ভাবে ভাল শেয়ার দীর্ঘ সময় ধরে রাখার কারনে এখানে লোকসান হবার ঝুঁকি অনেক কম।
প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রত্যাশা ও চাহিদা যেমন ভিন্ন ঠিক তেমনি ভিন্ন তাদের বিনিয়গযোগ্য পুঁজির পরিমান। আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন না ব্যবসা করবেন তা নির্ভর করে আপনার পুঁজির পরিমান ও সময়ের উপর। যাদের ট্রেড আওয়ারের প্রতিটি মূহুর্তে বাজারে চোখ রাখা সম্ভব নয় আবার পুঁজির পরিমান কম তাদের জন্য উত্তম পন্থা হল শেয়ারে বিনিয়োগ করা। যারা পুঁজি বাজারকে দ্বিতীয়/তৃতীয় আয়ের মাধ্যম হিসেবে নিতে চাইছেন তাদের জন্যেও বিনিয়োগ করাই অধিক সুবিধাযনক। মাত্র ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে আপনি বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন, লাভ হলে পূনঃ বিনিয়োগ করে আথবা ৩/৬ মাস পর পর ইন্সটলমেন্ট আকারে নতুন বিনিয়োগ করে পুঁজির পরিমান বৃদ্ধি করুন। তুলনামূলক ভাবে ভাল শেয়ার দীর্ঘ সময় ধরে রাখার কারনে এখানে লোকসান হবার ঝুঁকি অনেক কম।
শেয়ার ব্যবসা শুধু তাদের জন্য প্রযোজ্য যাদের আ ইয়ুল্বেয়ের একমাত্র উৎস শেয়ার বাজার। বড় পুঁজির পাশাপাশি সর্বদা বাজারকে পর্যবেক্ষণে রাখার মত সময় তাদের থাকতে হবে কারন বাজারের ক্ষণস্থায়ী মূল্য উঠা-নামা থেকে আপনাকে নাভ নিশ্চিত করতে হবে। আমার মতে নূন্যতম ২০ লক্ষ টাকার প্রাথমিক পুঁজি না থাকলে শেয়ার নিয়ে ব্যবসা না করাই উত্তম। ৫/৬ লক্ষ টাকা রাখুন আগামী ১ বছের জীবনযাত্রার ব্যয় মেটানোর জন্য আর বাকিটা রাখুন শেয়ার কেনাবেচার জন্য। পুঁজি যত বড়ই হোক না কেন প্রতি মাসেই শেয়ার বাজার থেকে মাসিক সাংসারিক খরচ যোগার করা সম্ভব হবে না। তাই নুন্যতম ১ বছর চলার মত টাকার সংস্থান না থাকলে শেয়ার বেঁচে প্রয়োজন মেটাতে হবে, যা বাজেরের দুঃসময়ে আপনার ক্ষতি দ্বিগুণ পরিমান বাড়িয়ে তুলবে।
তাই নিজের পুঁজি ও কতটুকু সময় আপনি এই বাজারে দিতে সক্ষম তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন, বিনিয়োগ অথবা ব্যবসা কোনটি আপনার জন্য যথাযথ। ভুল উপায় অবলম্বন করলে লাভের চাইতে ক্ষতির শিকার হওয়াই আপনার নিয়তি হবে দাঁড়াবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন