বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার উদাসীনতায় লিস্টেড কোম্পানিগুলোর অনিয়ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক জন বিনিয়োগকারী হিসেবে কোম্পানির বাৎসরিক আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া
আমার অধিকার, যা এজিএম হওয়ার ১৪ দিন পূর্বে বিনিয়োগকারীদের নিকট পৌঁছানোর
নিয়ম রয়েছে। ব্যাক্তিগত কপি দূরে থাক, আমাদের মত ছোট বিনিয়োগকারীরা এই বার্ষিক প্রতিবেদন এজিএম হওয়ার ৩-৪ দিন আগেও কোম্পানির ওয়েবসাইটে পাই না।
ফলে আমরা যথাযথ ভাবে কোম্পানির আর্থিক বিবরণী যাচাই-বাছাই করে এজিএম এ
প্রশ্ন করতে/মতামত দিতে পারি না।
দায়সারা ভাবে কোম্পানি হয়ত এজিএম এর ১/২ সপ্তাহ পরে অ্যানুয়াল
রিপোর্টটি তাদের ওয়েবসাইটে দিবে এবং তার পরই আমাদের তাতে চোখ বুলাবার সুযোগ হয়, আথচ কিছু সংখক ভাগ্যবান বড় বিনিয়োগকারী এজিএম
হওয়ার ৩-৪ দিন আগেই অ্যানুয়াল রিপোর্ট হাতে পান। আমরা সবাই জানি যে, এই
অ্যানুয়াল রিপোর্টে কোম্পানির আয়-ব্যয়, নতুন বিনিয়োগ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ইত্যাদি বহু মূল্য সংবেদনশীল তথ্য থাকে। ফলে কেউ এই রিপোর্ট পাচ্ছেন এজিএম হবার ১/২ সপ্তাহ আগে আর কেউ পাচ্ছেন ১/২ সপ্তাহ পর। কোম্পানির অবহেলায় এই
৩-৪ সপ্তাহের ব্যবধান ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অসম প্রতিযোগিতায় ফেলছে। যথা
সময়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য জানতে না পারায় আমরা আর্থিক ক্ষতির শিকার
হচ্ছি।
দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও যথা সময়ে
তাদের অ্যানুয়াল রিপোর্ট কোম্পানির ওয়েবসাইটে দিচ্ছে না। উদাহরণ স্বরুপ
: হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, গত ১৫/৪/২০১৫ তারিখে তাদের এজিএম হয়েছে অথচ আজ ১৬/৪/২০১৫ তারিখে ও তারা
২০১৪ সালের অ্যানুয়াল রিপোর্ট ওয়েবসাইটে দেয়নি। ভাগ্যবান কেউ কেউ প্রিন্ট কপি পেলেও
তা মোট বিনিয়োগকারীর সংখ্যার তুলনায় খুবই কম। তাই কোম্পানির আর্থিক বিবরণী
যেন এজিএম এর পূর্বেই ওয়েবসাইটে দেয়া হয় তার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রথম প্রকাশ http://www.sharebazarnews.com/archives/7760
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন