স্টক ভায়লুয়েশনের অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। মজার ব্যাপার হল সব পদ্ধতি সব স্টকের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। স্মল/মিড ক্যাপ গ্রোথ কোম্পানির জন্য এক পদ্ধতি আবার
বড় মূলধনী কোম্পানির জন্য অন্য পদ্ধতি। স্টক ভায়লুয়েশন সাইন্স নয়
যে একই ফর্মুলায় ক্যাল্কুলেশন করলে সবাই এক রকম ফল পাবেন। এখানে অনেক
ধরা-ধরি বা অনুমানের ব্যাপার আছে যা এক এক জন এনালিস্ট ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করেন। তাই স্টক
ভায়লুয়েশন হল এক প্রকার আর্ট - ফাইনান্সিয়াল আর্ট। একটি ষ্টকের জন্য চার-পাঁচ ভাবে
স্টক ভায়লুয়েশন করে তাদের গড় অথবা একটি রেঞ্জ হিসাব করা হয়।
স্টক ভায়লুয়েশনের জটিল জটিল সব অংকে না গিয়ে আমি চেষ্টা করব খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এমন কিছু টেকনিক বর্ণনা কারার যাতে এক-দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করলেই যে কেউ রাফ স্টক ভায়লুয়েশন করতে পারবেন।
স্টক ভায়লুয়েশনের জটিল জটিল সব অংকে না গিয়ে আমি চেষ্টা করব খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এমন কিছু টেকনিক বর্ণনা কারার যাতে এক-দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করলেই যে কেউ রাফ স্টক ভায়লুয়েশন করতে পারবেন।
স্টক ভ্যালুয়েশন-১ঃ বেঞ্জামিন গ্রাহাম নাম্বার
এই পদ্ধতিতে স্টক ভায়লুয়েশন করতে আপনার সাকুল্যে সময় লাগবে পাঁচ মিনিট আর হাতে একটা মোবাইল বা ক্যালকুলেটর হলেই যথেষ্ট। প্রথমে পছন্দের কোম্পানির এনুয়ালাইজ NAV ও EPS হিসেব করে বের করুন। কোম্পানির ইন্ট্রাঞ্জিক ভ্যালু NAV এর দেড় গুণ থেকে EPS এর পনেরো গুন পর্যন্ত হতে পারে।
বেঞ্জামিন গ্রাহাম নাম্বার, BGN = Square Root (1.5*NAV*15*EPS) = Square Root (22.5*NAV*EPS).
উদাহরণঃ ধরুন আপনার পছন্দের কোম্পানি সামিট পাওয়ার। গত ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৬) কোম্পানিটির NAV ও EPS যথাক্রমে 28.37 ও 2.08 টাকা। আগামী ৬ মাস যেহেতু গ্রীষ্মকাল সেহেতু বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় EPS হতে পারে 2.5 থেকে 3 টাকা । যেহেতু অনুমান তাই কম ধরাই ভাল। তাই ধরে নিলাম আয় হবে 2.5 টাকা ।
তাহলে আমাদের এনুয়াল NAV ও EPS হবে যথাক্রমে 30.87 ও 4.58 টাকা।
অনুমান-১ঃ 1.5*NAV = 1.5*30.87 = 46.3
অনুমান-২ঃ 15*EPS = 15*4.58 = 68.7
অনুমান-৩ঃ Square Root (22.5*NAV*EPS) = Square Root (1.5*30.87*4.58) = 56
এই তিন সংখ্যার গড় করলে আমরা পাই ৫৭। সুতরাং আমরা এই স্বীদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি যে, সামিট পাওয়ারের ইন্ত্রাঞ্জিক ভ্যালু ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে। যদি বর্তমান বাজার দর ৪২ টাকা হয়, তবে এই লেভেলে কিনলে আমাদের নুন্যতম মার্জিন অফ সেফটি থাকবে ১৬ শতাংশ।
[পুনশ্চঃ সামিট পাওয়ারের ভ্যালুয়েশন শুধু মাত্র একটি উদাহরণ, কোন বাই/সেল ইন্সট্রাকশন নয়। পূঁজি বাজারে বিনিয়োগ ঝুকিপূর্ণ, তাই নিজ দায়িত্বে বিনিয়োগ স্বীদ্ধান্ত নিন]
এই পদ্ধতিতে স্টক ভায়লুয়েশন করতে আপনার সাকুল্যে সময় লাগবে পাঁচ মিনিট আর হাতে একটা মোবাইল বা ক্যালকুলেটর হলেই যথেষ্ট। প্রথমে পছন্দের কোম্পানির এনুয়ালাইজ NAV ও EPS হিসেব করে বের করুন। কোম্পানির ইন্ট্রাঞ্জিক ভ্যালু NAV এর দেড় গুণ থেকে EPS এর পনেরো গুন পর্যন্ত হতে পারে।
বেঞ্জামিন গ্রাহাম নাম্বার, BGN = Square Root (1.5*NAV*15*EPS) = Square Root (22.5*NAV*EPS).
উদাহরণঃ ধরুন আপনার পছন্দের কোম্পানি সামিট পাওয়ার। গত ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৬) কোম্পানিটির NAV ও EPS যথাক্রমে 28.37 ও 2.08 টাকা। আগামী ৬ মাস যেহেতু গ্রীষ্মকাল সেহেতু বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় EPS হতে পারে 2.5 থেকে 3 টাকা । যেহেতু অনুমান তাই কম ধরাই ভাল। তাই ধরে নিলাম আয় হবে 2.5 টাকা ।
তাহলে আমাদের এনুয়াল NAV ও EPS হবে যথাক্রমে 30.87 ও 4.58 টাকা।
অনুমান-১ঃ 1.5*NAV = 1.5*30.87 = 46.3
অনুমান-২ঃ 15*EPS = 15*4.58 = 68.7
অনুমান-৩ঃ Square Root (22.5*NAV*EPS) = Square Root (1.5*30.87*4.58) = 56
এই তিন সংখ্যার গড় করলে আমরা পাই ৫৭। সুতরাং আমরা এই স্বীদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি যে, সামিট পাওয়ারের ইন্ত্রাঞ্জিক ভ্যালু ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে। যদি বর্তমান বাজার দর ৪২ টাকা হয়, তবে এই লেভেলে কিনলে আমাদের নুন্যতম মার্জিন অফ সেফটি থাকবে ১৬ শতাংশ।
[পুনশ্চঃ সামিট পাওয়ারের ভ্যালুয়েশন শুধু মাত্র একটি উদাহরণ, কোন বাই/সেল ইন্সট্রাকশন নয়। পূঁজি বাজারে বিনিয়োগ ঝুকিপূর্ণ, তাই নিজ দায়িত্বে বিনিয়োগ স্বীদ্ধান্ত নিন]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন